শাহজাহান আলী মনন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত তথা তরিকতপন্থীদের অন্যতম প্রধান শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিত্ব শাহ সূফি গোলাম জিলানী কাদেরী তেগী পীরের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২ এপ্রিল) বিকাল ৫ টায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত শহরের মিস্ত্রীপাড়া মদীনা লেনস্থ মাদরাসা কাদেরীয়া তেগীয়া আনোয়ারুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গণে মরহুম কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত স্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বাদ জোহর সৈয়দপুর রেলওয়ে মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী, ছাত্র ও তরিকতের বিভিন্ন স্তরের মুরব্বীসহ রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, ইমাম, মোয়াজ্জিন, আলেম, সূধীজন অংশগ্রহণ করেন। মরহুমের জানাজায় ইমামতি করেন তাঁর ছাত্র ও জামাতা এবং গদ্দীনশিন খলিফা শহরের মিস্ত্রীপাড়া মহল্লার গাউসীয়া মসজিদের ইমাম ও খতিব, মাদরাসা কাদেরীয়া তেগীয়া আনোয়ারুল উলুমের পরিচালক হাফেজ মাওলানা মোঃ রেজওয়ান আল কাদরী। উল্লেখ্য, মরহুম জিলানী পীর ছিলেন সূফীয়া দরবার শরীফ, গাউসীয়া মসজিদ, মাদরাসা কাদেরীয়া তেগীয়া আনোয়ারুল উলুমসহ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের স্থপতি। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের নীলফামারী জেলা সভাপতি, গোলাহাট কবরস্থান কমিটির সভাপতি। তিনি ১৯৮০ সালে সৈয়দপুরে ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মদিনের জাশনে জুলুশ তথা আনন্দ শোভাযাত্রার প্রবর্তন করেন। তাঁর নেতৃত্বেই মূলত সৈয়দপুর, নীলফামারীসহ বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলে সামাজিক-ধর্মীয় সংগঠন গাউসিয়া কমিটি, ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সেনা, রাজনৈতিক দল ইসলামীক ফ্রন্টের কার্যক্রম বিস্তার লাভ করেছে। তিনি দীর্ঘ দিন থেকে অসুস্থ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার (১ এপ্রিল) সন্ধা সাড়ে ৬ টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে, জামাতা, নাতি নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।