শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
টাকার লোভ দেখিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান ওরফে বেল্লা (৬৫) অবশেষে ধরা পড়েছেন। এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়ে সৈয়দপুরের পার্শবর্তী দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার হাশিমপুর ডাঙ্গাপাড়ায় জনতার হাতে মামলার ৪ দিন পর আটক হয়েছেন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। আটক ব্যক্তি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিিয়নের বয়েতপাড়ায়। সৈয়দপুর থানা পুলিশ তাকে এ সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে নীলফামারী আদালতে পাঠিয়েছে। নির্যাতনের শিকার কিশোরীর মা বাদি হয়ে গত শুক্রবার (১১ মার্চ) সৈয়দপুর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে নির্যাতনের শিকার কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ঘটনার বিষয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে ওই কিশোরী মামলার সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বয়েতপাড়ার মৃত. বিষাদু মামুদের ছেলে মো. আব্দুল মান্নান ওরফে বেল্লা (৬৫)। আর নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী একই এলাকার মো. রাশেদুল ইসলাম ও মোছা. শাহিনা বেগম দম্পতির মেয়ে। ঘটনার দিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল আনুমানিক ৩ টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী একই এলাকার জনৈক ডাব্লু নামের ব্যক্তির বাড়ির উঠানে গাছের সুপারি কুড়াতে যায়। আর এই সুযোগে বৃদ্ধ আব্দুল মান্নান ওরফে বেল্লা ওই মানসিক কিশোরীকে একা পেয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাঁড়ে নিয়ে গিয়ে তাকে ফুসলিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর থেকে ওই কিশোরী বাড়িতে কোন রকম কথাবার্তা না বলে সারাক্ষণ শুধুমাত্র চুপচাপ থাকত। পরবর্তীতে গত ৯ মার্চ ওই কিশোরীর গোপানাঙ্গে ব্যাথা অনুভূত হলে সে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ অবস্থায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই দিনের বিস্তারিত ঘটনা তাঁর মাকে বলে। এর আগেও আব্দুল মান্নান ওরফে বেল্লা মানসিক রোগী ওই কিশোরীকে বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ওই মানসিক কিশোরীর মা মোছা. শাহিনা বেগম বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/০৩) এর ৯ (১) ধারায় সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৮। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান মামলা দায়েরের ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামীকে এলাকাবাসী আটক করে খবর পেয়ে এসআই হাবিব তাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।