মিরু হাসান বাপ্পী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি।
দূষণের কারনে দূষিত একটি খালের পঁচা পানির দুর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সান্তাহার পৌরসভার বশিপুর, পৌঁওতা ও তিয়রপাড়া হয়ে ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলে গিয়ে মেশা ইরামতি খালটি (স্থানীয় ভাষায় খাড়ি) এলাকার মানব জীবনের সম্পদে পরিনত না হয়ে কাল হয়ে দেখা দিয়েছে।
খালটি বর্তমানে বদ্ধ জলাধারে রুপ নিয়েছে। জমেছে প্রচুর কচুরিপানা। কলকারখানার পানি এসে জমা হয়ে খালের পানিকে মারাত্মক দূষনে দূষিত করে ফেলেছে।এতে পানি পঁচে কালো রং ধারণ করেছে। পঁচা পানির দুর্গন্ধে ওই তিন এলাকার মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। এ ছাড়া খালের পঁচা ও দূষিত পানি বিলে গিয়ে মেশায় বিলের মাছসহ জলজ প্রাণী মরে ভেসে উঠছে। ফলে খাল ও বিলের জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে।
রক্তদহ বিলপাড়ের দমদমা গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক ও গণমাধ্যম কর্মী খায়রুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে বহুবার পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোন লাভ হয় নি। এভাবে চললে ইরামতি খালের সাথে রক্তদহ বিলের মাছসহ জলজ প্রাণীশুন্য হয়ে পড়বে। সান্তাহার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের ভিতরে দীর্ঘ প্রায় চার কিলোমিটার খালটির বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ যেন নীরব দর্শক। তাদের উচিত ছিল খালটিকে সম্পদে পরিনত করার। কিন্তু কোন উদ্যোগ নিয়েছে এমন তথ্য জানা নেই। নিয়মিত রক্ষণা-বেক্ষণ না করায় সৃষ্ট এমন বেহাল অবস্থা মেনে নেয়া যায় না।
পৌরসভায় অনেক গুলো দিন-হাজিরার শ্রমিক খাটানো হয়। তাদের মাধ্যমে খালের কচুরিপানা পরিস্কার, জলাবদ্ধতা নিরসনে খালের পানির নিচের দিকের প্রবাহ পথের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করার জন্য পৌর পরিষদকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করার দাবী জানায় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বর্তমান সান্তাহার পৌরসভার মেয়র ও বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নতুন পরিষদ কাজ শুরু করার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালের জলাবদ্ধতা নিরসন ও পঁচা পানির দুর্গন্ধ ছড়ানো রোধের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।