মোহাম্মদ মাসুদ প্রতিবেদক।
মহান আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে দেশ কালান্তর আয়োজিত ‘মাতৃভাষা দিবস ৮ই ফাল্গুন না কি একুশে ফেব্রয়ারী, শীর্ষক ভার্চুয়াল মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচকরা দাবী করেছেন ভাষা আন্দোলনের রাতে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ শ্রমিকদের রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ।
আজ শুক্রবার, ১৮ফেব্রুয়ারী,২০২২ ইং বিকাল ৪টায় ভার্চুয়াল মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহীদ মিনার নির্মাতাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবী প্রস্তাব করেন অতিথিরা ।
রাষ্ট্রীয় ভাবে তাদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি পাঠ্য বইয়ে ওই শ্রমিকদের নাম অর্ন্তভুক্ত করা উচিৎ। দেশ কালান্তর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান রায়হান হোসাইন ও মোহাম্মদ মাসুদের উপস্থাপনায় মুক্ত আলোচনা প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রিয় জাতীয় কমিটির সম্বয়ক আহমেদ আবু জাফর, বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপুর্ন আলোচনা করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজ চট্টগ্রাম, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিচিত্রা সেন, দেশের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শহীদ মিনার নির্মান শ্রমিক হাজী আবু তাহের এর বড় পুত্র মুন্সি মোঃ শামসুল আলম চৌধুরী প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে প্রথম শহীদ মিনার নির্মান করার পর ভেঙ্গে ফেলা সহ আন্দোলনের সময় বাবার মুখে শুনা ইতিহাস তুলে ধরে।
মুক্ত আলোচনা উদ্ধোধনী বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট্য কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন বাচ্চু।
পবিত্র কোরান তেলোয়াত করেন সাংবাদিক হাফেজ মাওঃ সাইফুল ইসলাম। আলোচনায় অতিথিরা বলেন, মাতৃভাষা দিবসে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বে-সরকারী, স্বায়ত্ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠানগুলো র্যালী, শহীদ মিনারে পুষ্পমান্য অর্পন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। ওই দিন শহীদ হওয়ায় শহীদদের কথা সবাই স্মরন করলেও দেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মান শ্রমিকদের কথা কেউ স্মরন করে না। এমকি কেউ শহীদ মিনার নির্মান শ্রমিকদের নামও জানে না।
দেশ কালান্তর আয়োজিত গুরুত্বপুর্ণ মুক্ত আলোচনা থেকে জাতীয় কিছুটা হলেও ইতিহাস জানতে পারবে। সরকারের উচিৎ বিষয়টি আমলে নিয়ে সকল নির্মান শ্রমিকদের রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।