নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা এবং দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ও আমাদের করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভা নীলফামারী মডেল কলেজের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত নীলফামারী মডেল কলেজ হল রুমে শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ও আমাদের করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ও আলোচনা সভা শেষে লিফলেট বিতরণ ও শব্দ দূষণ রোধে কলেজের ২শ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মানববন্ধনে করা হয়েছে।
এ সময় নীলফামারী মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম মোস্তফা সভাপতিত্ব করেন।এসময়ে নীলফামারী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ এমদাদুল হক প্রামানিক, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন, জেলা সমাজসেবার প্রবেশন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন, শহর সমাজসেবা অফিসার হৃদয় হোসেন, জেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির, নীলফামারী মডেল কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক খোকন চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্বাবধানে ও পরিচালনা করেন, দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা এবং দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আব্দুল মোমিন। এতে সংস্থার সদস্যবৃন্দ ও নীলফামারী মডেল কলেজের শিক্ষকবৃন্দ সার্বিক সহযোগীতা করেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য বলেন, সহনীয় মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত শব্দ মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ। মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণে শ্রবণশক্তি লোপসহ উচ্চ রক্তচাপ, মাথাধরা, খিটখিটে মেজাজ, বিরক্তি বোধ, অনিদ্রা, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাসহ নানা রকম মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
শব্দদূষণের প্রভাবে সর্বস্তরের মানুষ সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে ছাত্র-ছাত্রী, শিশু, হাসপাতালের রোগী, ট্রাফিক পুলিশ, পথচারী ও গাড়িচালকরা শব্দদূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শব্দদূষণ শিক্ষার্থীদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশের পথে বাধার সৃষ্টি করছে। দেশ ও জাতি বঞ্চিত হচ্ছে বিকশিত প্রজন্ম পাওয়া থেকে, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। তাদের মানসিক বিকাশের অন্তরায় শব্দদূষণ।
এতে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের ওপরে হলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়। যে কোনো ধরনের শব্দদূষণই মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে গর্ভবতী মায়েদের। এতে সুস্থ অবস্থায় শিশুর জন্মগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আবার শব্দদূষণ যত বেশি সময় ধরে চলে তার ক্ষতিকর প্রভাবও তত বেশি হয়। দীর্ঘস্থায়ী শব্দদূষণের মধ্যে থাকলে একজন মানুষের শারীরবৃত্তীয় বৈকল্য ক্রনিক আকারে দেখা দিতে পারে।
বক্তারা আরো বলেন, পরিবেশ দূষণ বর্তমানে এক অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছেছে। নানাভাবে আমাদের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণগুলির মধ্যে শব্দদূষণ একটি।
শব্দদূষণ যে পর্যায়ে অবস্থান করছে তা খুবই আশংকাজনক। সেটা সমস্যা মনে হলেও আমাদের অসচেতনতার কারণে আমরা প্রায়শ বলে থাকি এটার নিরসন সম্ভব নয়। কিন্তু এ সমস্যাগুলো মানুষেরই তৈরি। আমরা একটু সচেতনতা অবলম্বন করলেই এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। মানুষের তৈরি এমন একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য পরিবেশগত সমস্যা হলো শব্দদূষণ। বাড়িতে, অফিসে, রাস্তাঘাটে এমনকি বিনোদনের সময়ও আমরা বিভিন্নভাবে শব্দদূষণের শিকার হচ্ছি।