নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।

রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মিশনের দ্বিতীয় সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম। এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা শিরিন ফারজানা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কনস্যুলার সহকারী ইবাদ উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান মো. সোহেল পারভেজ। তিনি তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের প্রবাসে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
এছাড়াও তিনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহের প্রবাসীদের বিভিন্ন উল্লেখ্যযোগ্য সেবার বিষয়ে ধারণা দেন। যেমন- প্রবাসীদের সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি, প্রতিবন্ধী সন্তানের ভাতা, অসুস্থ প্রবাসীর চিকিৎসা সহায়তা, বিদেশে মৃত্যু বরণকারীর মরদেহ দেশে পাঠানো, মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ, দক্ষ জনশক্তি গঠনে টিটিসি কর্তৃক প্রশিক্ষণ, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
এছাড়া তিনি সবাইকে বৈধভাবে কাজ করা ও বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুরোধ করেন।আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ হতে বক্তব্য দেন- ন্যাশনাল ব্যাংক মানি ট্রান্সফারের সিইও মাসুদুর রহমান, ভিউ কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন ও রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক কামাল হোসেন। তারা প্রবাসীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, প্রবাসীদের পাসপোর্ট গ্রহণ ও বিমানবন্দরে হয়রানি রোধ ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে গুরত্বারোপ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু শুধুমাত্র সরকারের একার পক্ষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি সম্ভব নয়। এ জন্য আমাকে-আপনাকে সবাইকে এগিয়ে হাসতে হবে। তাহলেই সোনার বাংলা করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।