নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোরের ঝিকরগাছায় প্রভাবশালী সাবেক ইউপি সদস্যের হাত থেকে বাঁচতে একটি অসহায় পরিবার বিজ্ঞ আদলতে মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনার স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে সেই আলোচিত সাবেক ইউপি সদস্য শরিফ মোড়ল বিভিন্ন ভাবে বাদী পক্ষকে হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
বাদী ইব্রাহীম জানান,আদালতে মামলা করে আসার পর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে সাবেক ইউপি সদস্য শরিফ মোড়ল সহ বিবাদীগন আমাকে সহ আমাদের সকলকে ভয়ভিতি প্রদর্শন করে চলেছে।
তিনি আরো জানান, সাবেক ইউপি সদস্য শরিফ মোড়ল সহ তার লোকজন বলে বেড়াচ্ছে আমরা যদি বাজারে আশি আমাদের কে মারবে। ও মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করবে বলে বেড়াচ্ছে। আমি এই বিষয়টা নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি তারা সুযোগ পেলে আমাকে মেরে দিতে পারে আমি স্থানীয় প্রসাষনের সহযোগিয়া কামনা করছি। ঝিকরগাছা উপজেলার ১১নং বাঁকড়া ইউনিয়নের বড় খলশী গ্রামের মৃত ফায়েজ সরদারের ছেলে মোঃ ইব্রাহীম সরদার (৪০)।
মামলা করা হয়েছে, বড় খলশী গ্রামের মৃত গহর মোড়লের ছেলে শরিফ মড়ল (৪৫), শফি মড়ল (৪০), মৃত আতর আলী সরদারের ছেলে মোজাম সরদার (৫২), মৃত দিনাত গাইনের ছেলে মোশা গাইন (৫০), হারুন গাজীর ছেলে তুষার (২০), মৃত বুদ্ধ গাজী ছেলে রেজাউল গাজী (৪৫), মৃত খয়রাত আলী সরদারের ছেলে লুৎফর সরদার (৬০), মোজাম সরদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪৫) ও হারুনের স্ত্রী জুলি বেগম (৩৭)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিবাদী তুষারের টিউবওয়েলের পানি গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়ায় এই পানির কারণে রাস্তায় কাদাযুক্ত হয়ে গ্রামের মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এই নিয়ে গ্রামের লোকজন তাদের কে পানি যাওয়ার বিষয়ে বরংবার বললেও তারা কোনো কর্ণপাত করে না। আরো বলে যে, রাস্তা দিয়ে পানি যাবে পারলে কিছু করে নিও।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) ২টার সময় পানি রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়ায় বাদী ও স্বাক্ষীরা বলে রাস্তা দিয়ে তোমাদের টিউবওয়েল পানি যায় তোমরা যদি রাস্তার নিচে দিয়ে একটা পাইপ দেও তাহলে রাস্তাটা ভালো থাকতো। এই কথা বলার কারণে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এবং সকল আসামিরা দেশীয় তৈরী অস্ত্র শস্ত্র সজ্জিত হয়ে অতর্কিত বাদীর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে মা-বোন তুলে গালি গালাজ করে থাকে। বাদী, বাদীর ভাই হারুন সরদার ভিকটিম ও পরিবারের মহিলা সদস্যরা গালি দিতে নিষেধ করলে শরিফ মোড়লের হাতে থাকা চার ফুটের রামদা দিয়ে ভিকটিমের মাথায় স্বজোরে আঘাত করতে গেলে তার মাথা সরিয়ে নিলে সেই আঘাত ভিকটিমের ঘাড়ে লাগে এবং ভিকটিম পড়ে যায়।
এছাড়াও বিবাদীদের ক্ষমতা প্রযোগ করে বাদীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মারপিট করে এবং বাদীর স্ত্রীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, হাতে থাকা চুরি খুলে নেয়, ঘর-গোয়াল ঘর ভাংচুর ও সোকেচ ভাঙ্গিয়া ব্যবসায়ীক অর্থ নিয়ে নেয়। বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রথমে স্থানীয় ডাক্তার ও পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
মামলার ১নং বিবাদী সাবেক ইউপি সদস্য শরিফ মড়লের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মারামারি হয়েছে এটা ঠিক আছে। তবে আমি ঘটনাস্থানে যায়নি কিছু বলতে পারবো না। আমি লোক মারফত বিষয়টা শুনতে বলেছি যে আমি ঘটনার সময় সেখানে ছিলাম কি। কিন্তুু আমি ওদের হুমকি দেয়নি।