মো.শফিকুল ইসলাম,চট্টগ্রাম:
মহেশখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে হত্যা মামলার প্রধান আসামী জাবেদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবসার জানান,গত ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ই তারিখে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার ফকিররঘোনা এলাকার ফেরদৌস প্রকাশ কালা বদা (২৪) নামে এক যুবককে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে যায় এবং পরে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকারীদের সাথে ভিকটিমের পরিবারের লোকজনের পূর্ব থেকে মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ ছিল।
ঘটনার দিন ভিকটিমের প্রতিবেশী মো.জাবেদ এর জমিতে পানি চলাচলের বিষয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে রাত আনুমানিক ০৯:৪৫ ঘটিকায় মো.ফেরদৌসকে মো.জাবেদ এবং ৪/৫জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বন্দুক,ধারালো দা, লোহার রড ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে এলোপাতাড়ী মারধর করতে থাকে। মারপিটের এক পর্যায়ে মো.জাবেদ হত্যার উদ্দেশ্যে খুব কাছ থেকে ভিকটিমের মাথায় গুলি করে।পরবর্তীতে ভিকটিম ফেরদৌসকে তার আত্মীয় স্বজন চিকিৎসার জন্য মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত ঘোষনা করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের চাচা নুরুল হক বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানায় ১৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-০৭/৩৮ তারিখ ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড। এই মামলায় মোঃ জাবেদ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং অন্যতম প্রধান (এজাহারনামীয় ১নং) আসামী ছিল। উক্ত ঘটনাটি তখন প্রিন্ট ও ইলেট্রিক মিডিয়াসহ ভিকটিমের এলাকা তথা সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি জাবেদ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পলাতক থাকে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ই তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ০১ নং পলাতক আসামী মোঃ জাবেদ (২৭) চট্টগ্রাম মহানগরীর ভাটিয়ায়ারি থানাধীন হাসনাবাদ এলাকায় একটি ইট ভাটায় চাকুরীর সন্ধানের কথা বলে পলাতক অবস্থায় আছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ বিকাল ৩ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ জাবেদ (২৭), পিতা- আজম খান, সাং- ফকিরাঘোনা, থানা-মহেশখালী, জেলা- কক্সবাজারকে গ্রেফতার করে গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে ফেনী জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।