হেলিকপ্টার থেকে নামার পর মা-ছেলেকে ফুল দিয়ে বরণ করেন গ্রামবাসী
জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুরঃ
গ্রামে প্রথম নামলো হেলিকপ্টার। তা দেখতে কৌতূহলবশত আশপাশের সহস্রাধিক মানুষ ভিড় জমান। ঘটনাটি শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার ছোট কাচনা গ্রামের।
জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত মাস্টার মতিউর রহমান বাঘার ছেলে নিয়াজ মোর্শেদ রাজিব (৩৬) একযুগ ধরে ইতালির রোমে থাকেন। ছুটিতে তিনি শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নামেন। মা নারগিস বেগমের (৬৫) স্বপ্ন পূরণে রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে মাকে নিয়ে গ্রামে যান রাজিব। দুপুর ১২ টার দিকে গ্রামের খান বাড়ির মাঠে হেলিকপ্টারটি নামে।
হেলিকপ্টার ও মাকে আনা হবে এমন খবর আগেই প্রচার হয় গ্রামে। তাই কৌতূহলবশত আশপাশের সহস্রাধিক মানুষ জড়ো হন ছোট কাচনা গ্রামে। হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসার পর গ্রামবাসী মা-ছেলেকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। পরে গ্রামবাসীর মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
শামসুদ্দিন সিকদার, তুশমিতা আক্তার, হিমেল, মোতালেব সরকার, ফুলন নেছাসহ গ্রামবাসী বলেন, আমাদের অজপাড়া গাঁয়ে এই প্রথম হেলিকপ্টার এসে নামলো। আমাদের গ্রামের রাজিব তার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টারে করে গ্রামে এসেছেন। হেলিকপ্টার ও রাজিবের মাকে দেখতে এসেছি।
নিয়াজ মোর্শেদ রাজিব বলেন, আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার গ্রামের বাড়িতে আসবে। মায়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে চেষ্টা করেছি। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে ভালো লাগছে, আনন্দ লাগছে। অনেকদিন পর গ্রামের লোকদের দেখে খুবই ভালো লাগছে। হেলিকপ্টারে আমি, মা, বোন, খালাতো ভাই ও খালাতো বোন এসেছি।
রাজিবের মা নারগিস বেগম বলেন, আমার আশা ও স্বপ্ন পূরণ করেছে ছেলে রাজিব। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। ছেলের জন্য দোয়া করি, আপনারাও দোয়া করবেন।
নাগেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, হেলিকপ্টারে রাজিব তার মাকে গ্রামে এনেছেন। এমন খবর পেয়ে গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ জড়ো হয়েছিল। এটা মায়ের প্রতি ছেলের অন্যরকম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বলে তিনি জানান।
এমএইচ/এসজে/জেআইএম
প্রবাস ভালোবাসা-দিবস ইতালি শরীয়তপুর