deshbanglakhobor24
২৮শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় বিকাল ৪:২৪ মিনিট
  1. অর্থ উন্নয়ন
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও অপরাধ
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলামিক
  7. কৃষি
  8. খুলনা
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. গল্প ও সাহিত্য
  12. চট্টগ্রাম
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. দেশীয় শিল্প বাণিজ্য

ব্রেকিং নিউজ:

ব্যাংকের সাড়ে ৩ কোটি টাকা লোপাট দু‘বছরেও জামিন মেলেনি ফয়সালের

প্রতিবেদক
DBkhobor24
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২ ৯:৩৯ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিনিধি, রাজশাহী:

প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা সরিয়ে নেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল জামিন পাননি দুবছরেও। প্রায় ২৫ মাস থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। তাকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নেয়া হলেও আলোচিত এ ঘটনার নেপথ্যের কারো নাম সামনে আনতে পারেননি মামলার তদন্ত
কর্মকর্তারা। এতে অভিযুক্তর বাবা ছেলেকে ‘নির্দোষ দাবি করে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

‘মানবিক বিবেচনায় হলেও ফয়সালের মুক্তি চেয়ে আড়ালে থাকা ব্যাংকের অন্য কর্মকর্তাদের
আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ভোল্ট থেকে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরিয়ে নেয়া হয়। ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে বিষয়টি জানতে পারেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। সেসময় ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ পদে কর্মরত ছিলেন ফয়সাল।

এ ঘটনায় ওই বছরের ২৩ জানুয়ারি ব্যাংকটির রাজশাহী শাখার তৎকালীন জোনাল ম্যানেজার সেলিম রেজা খান ফয়সালের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। আর জোনাল ম্যানেজার সেলিমকে বদলি করেন ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর ফয়সাল টাকা সরানোর কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আদালতে। তবুও নেপথ্যে কেউ জড়িত রয়েছেন কিনা তা জানতে দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।

এদিকে ফয়সালের আইনজীবী আদালতে জামিন আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়নি। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে সেটি দুদককে ঞদায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিলম্ব হচ্ছে মামলার অগ্রগতিতে। তবে ফয়সালকে ‘নির্দোষ দাবি করে মুক্তি চেয়েছেন তার বাবা একেএম নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ফয়সালকে ৩দিনের মধ্যে জামিন করিয়ে দেয়ার আশ্বাসে দোষ স্বীকার করতে বলেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। সেজন্য আমার ছেলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল। কিন্তু সে নিরপরাধ। তিনি বলেন, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগে কয়েকবার ব্যাংক অডিট হয়েছে। সেসব অডিটে একবারও টাকা সরানোর ঘটনায় আমার ছেলের নাম আসেনি। তাহলে অডিটে কী ভিজিট করেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তারা? এটা অবশ্যই ষড়যন্ত্রমূলক।

এ ঘটনায় রাঘব বোয়ালরা আড়ালে রয়েছেন। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত। আমি খুব অসুস্থ। মানবিক বিবেচনায় হলেও একমাত্র ছেলের জামিন চাই।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত