deshbanglakhobor24
৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় দুপুর ১২:৪৯ মিনিট
  1. অর্থ উন্নয়ন
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও অপরাধ
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলামিক
  7. কৃষি
  8. খুলনা
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. গল্প ও সাহিত্য
  12. চট্টগ্রাম
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. দেশীয় শিল্প বাণিজ্য

ব্রেকিং নিউজ:

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার: মন্ত্রী

প্রতিবেদক
DBkhobor24
মার্চ ৩০, ২০২২ ১:০৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরকার ইলিশের উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চায় বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (৩০ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান। এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. ইয়ামিন চৌধুরী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়নের মধ্যে আমরা বাংলাদেশের সব মানুষের হাতের নাগালে ইলিশ মাছ পৌঁছে দিতে চাই। এ লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবছরও ৩১ মার্চ থেকে ০৬ এপ্রিল পর্যন্ত ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২’ উদযাপন করবে সরকার।

তিনি বলেন, জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইলিশ মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১২ দশমিক ২২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। যা একক প্রজাতি হিসেবে সর্বোচ্চ। জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশের বেশি।

বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি আহরিত হয় এদেশের নদ-নদী, মোহনা ও সাগর থেকে। ফলে ইলিশ দেশের জি আই পণ্যের মর্যাদা পেয়েছে। প্রায় ৬ লাখ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০ থেকে ২৫ লাখ লোক ইলিশ পরিবহন, বিক্রি, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানি ইত্যাদি কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।

মন্ত্রী আরও বলেন, এবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে “ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, জাটকা ধরলে সর্বনাশ”। দেশের ইলিশ সম্পৃক্ত ২০টি জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২ এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে বড় পরিসরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধনী সমাবেশ ও নৌর্যালি অনুষ্ঠিত না হলেও বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন এবং তৎসংলগ্ন পদ্মা নদীতে নৌর্যালি অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আপামর জনসাধারণ বিশেষ করে মৎস্যজীবী সম্প্রদায় ও ভোক্তাদের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা জাটকা ধরা, কেনা/বেচা এবং খাওয়া থেকে বিরত থেকে জাতীয় মাছ ইলিশের উন্নয়নে এগিয়ে আসবেন।বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার: মন্ত্রী

মন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান আইন সংশোধন করে জাটকা আহরণ নিষিদ্ধের সময় নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ৮ মাস করা হয়েছে এবং জাটকার দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি করা হয়েছে। বিগত ২০০৮ থেকে ২০০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫ লাখ ৬৫ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে। উৎপাদন ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধির ফলে ইলিশ আজ সব শ্রেণিপেশার মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর অন্যতম প্রধান অন্তরায় হচ্ছে কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল নিয়ে নির্বিচারে জাটকা নিধন। এ অবৈধ জাল নির্মূলে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ৪ সপ্তাহ দেশের ১৭টি জেলায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা হয়েছে। এসময়ে মোট ৩০ দিনে মোট ৮৮৪ টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ৫৪৬ টি অভিযান পরিচালনা করে ৪ হাজার ২১৭টি বেহন্দি জাল, ৪৬৯ দশমিক ৫২ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ৯ হাজার ৫৬২টি অন্যান্য জাল (বেড়জাল, চরঘড়া জাল, মশারি জাল, পাইজাল ইত্যাদি) জব্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিগত ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৬টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৬ হাজার টন ভিজিএফ বিতরণ করা হয়েছে। যা বিগত বছরের চেয়ে প্রায় ১০ হাজার টন বেশি ছিল।

প্রথম কিস্তি মার্চ-এপ্রিল মাসের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭০০টি জেলে পরিবারের জন্য ৪০ কেজি হারে মোট ৩১ হাজার ২৫৬ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে বেশি। ২০২১ সালে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৪টি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি হারে মোট ১১ হাজার ১১৯ টন চাল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২৮ হাজার জেলে পরিবার মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় ভিজিএফ চাল পেয়েছে। ভিজিএফ সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৫২ হাজার জেলেকে তাদের চাহিদানুযায়ী নানা উপকরণ দেওয়া হয়েছে।

হাট-বাজারে জাটকা বিক্রি বন্ধ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, জাটকা বিক্রি বন্ধের জন্য দেশের হাট-বাজারগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে সবাইকে সচেতন করতে হবে৷ এক্ষেত্রে জেলেদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

ইলিশ

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত

নীলফামারীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের কমরেড হানিফ আর নেই 

ফখরুলের বক্তব্য দায়িত্বহীন, বিএনপিই আগুন নিয়ে খেলে: তথ্যমন্ত্রী

শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেটের অবস্থান অনেক নিচে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডোমারে ‘সবার পাঠশালা শিক্ষা সম্মেলন–২০২২’ অনুষ্ঠিত

হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় খেলা হাডুডু বা কাবাডি

সুজানগরে জাতীয় সংবিধান দিবসের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

রাজধানী এখন বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে: ফখরুল

বিরামপুরে লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ জনজীবন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২টি বিদ্যুৎ ইউনিট সচল

ফুলবাড়ী উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদকের জন্মদিন পালিত