জয়নাল আবেদীন:
যশোরের বেনাপোল বন্দরে হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়ন দখল করাকে কেন্দ্র করে
দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে বৃষ্টির মতো বোমা বিস্ফোরণ সহ গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। এতে ১০জন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ১১ টার দিকে বেনাপোল বন্দরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের শার্শা উপজেলা কমপ্লেক্স ও যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর আতংকিত হয়ে পড়ে বেনাপোল বন্দর এলাকা। বোমা বিস্ফোরণে বন্দর, কাস্টমসসহ আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।
বেনাপোল হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা জানান, বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়ন নিয়ে শ্রমিকদের দুই পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিনের। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান ও অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন পৌর কাউন্সিলর রাশেদ আলী।
ওয়াহিদুজ্জামান পক্ষের সমর্থন দেন এমপি আফিল উদ্দিন। রাশেদ পক্ষের পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
সোমবার বেলা ১১ টার দিকে বেনাপোল পৌর কাউন্সিলর রাশেদের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল বন্দরের সামনে আসেন। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান জানান, খবর পেয়ে বেনাপোল বন্দর এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারন সার্কেল) জুয়েল ইমরান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনার সাথে বেনাপোল তালসারী এলাকার একজন জড়িত থাকার কথা জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জন শ্রমিক আহত হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন তরফদার জানান, হ্যান্ডলিংক শ্রমিকদের সৃষ্ট গোলযোগের কারণে সকাল থেকে বন্দরের লোড আনলোড কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।