deshbanglakhobor24
২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সন্ধ্যা ৭:২৫ মিনিট
  1. অর্থ উন্নয়ন
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও অপরাধ
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলামিক
  7. কৃষি
  8. খুলনা
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. গল্প ও সাহিত্য
  12. চট্টগ্রাম
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. দেশীয় শিল্প বাণিজ্য

ব্রেকিং নিউজ:

বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের গুটি

প্রতিবেদক
DBkhobor24
এপ্রিল ৪, ২০২২ ২:৩৮ অপরাহ্ণ

পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

আমের দ্বিতীয় রাজধানী খ্যাত নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলের অধিকাংশ গাছের মুকুল থেকে ইতিমধ্যে বেরিয়ে পড়েছে আমের গুটি। কিন্তু গাছে গাছে আমের গুটি দেখা গেলেও দীর্ঘদিন ধরে আকাশের বৃষ্টি না হওয়ায় আমের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বাগান মালিক ও আম ব্যবসায়ীরা।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ জেলায় ২৯হাজার ৪৭৫হেক্টর জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। এসব বাগান থেকে এবছর আমের উৎপাদন হবে ৩লাখ ৬৮হাজার ৪৩৫মেট্রিক টন। এদিকে জেলার পোরশা উপজেলায় আম চাষ হচ্ছে ১০হাজার ৫২০হেক্টর জমিতে। এবছর প্রতি হেক্টরে ১৪মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। সে হিসাবে শুধুমাত্র পোরশা উপজেলায় আম উৎপাদন হবে ১লক্ষ ৪৭হাজার ২৮০মেট্রিক টন।

বর্তমানে প্রায় গাছে গুটি দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলের বিশেষ অর্থকরী ফসল এখন আম। প্রতি বছর এ অঞ্চলের মানুষদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে আম বিশেষ ভ‚মিকা রাখে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি হারিয়ে গেছে।আম। প্রতি বছর এ অঞ্চলের মানুষদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে আম বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি হারিয়ে গেছে।

নওগাঁ জেলায় সিংহভাগ আম উৎপাদন হয়ে থাকে পোরশা ও সাপাহার উপজেলা থেকে। এ দুই উপজেলার বেশ কয়েকটি আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, আমের গুটি বের হওয়া শুরু করেছে। কোনোটি আকারে ছোট, আবার কোনোটি একটু বড়। বৃষ্টি না হওয়ায় আমের গুটি স্বাভাবিক কারণে বড় হচ্ছে না। আকাশের বৃষ্টি না হলে আর কিছুদিন পর আমের গুটিগুলো গাছ থেকে ঝরে পড়তে শুরু করবে। বিষয়টি আম চাষিসহ বাগান মালিকদের ভাবিয়ে তুলেছে।

হুমায়ন নামের এক আমচাষী জানান, নতুন গাছগুলোতে এবছর আমের গুটি মোটামুটি এসেছে। আর পুরনো আম গাছগুলোতে মুকুল নেই বললেই চলে। তবে লম্বা সময় ধরে আকাশের বৃষ্টি না হওয়ায় তারা চিন্তিত। বৃষ্টি না হলে গুটিগুলো ঝরে যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, এখন পর্যন্ত গাছ ও আমের অবস্থা ভাল আছে। যতটুক মুকুল ছিল এবং ঐ মুকুল থেকে আমের গুটি এসেছে চোখে পড়ার মতো। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি দাবী করেন। তবে আমের জন্য এ মুুহূর্তে একটা আকাশের বৃষ্টি দরকার। আর বৃষ্টি না হলে আম উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সর্বশেষ - সারাদেশ