মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস। এর আগে বুধবার (৩১ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল সৈয়দপুরে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল লোকজন। অনেকেই বিশ্রাম নিচ্ছেন গাছের তলায় বা ছায়া পড়েছে এমন স্থানে। অসহ্য রোদের তাপে কাজ করতে পারছেন না কৃষক-শ্রমিকরা। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ফুটপাত থেকে আখের রস, লেবুর শরবত খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতে দেখা গেছে অনেককে।
সৈয়দপুরের পাঁচমাথা এলাকার রিকশাচালক সোলেমান বলেন, এই গরমে জীবন শেষ। ইচ্ছা করছে না যে রোদে বাইরে থাকি। কিন্তু পেটের দায়ে তো থাকতে হবে। এমন হলে আমরা গরিব মানুষ মারা যাবো।
নীলফামারী স্টেশন এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা আকবর মিয়া বলেন, আমরা ট্রেনে বা স্টেশনে ঝালমুড়ি বেচি। কিন্তু যে গরম পড়ছে এতে মানুষ ঝালমুড়ি খেতে চায় না।
জলঢাকা এলাকার কৃষক জোবাইদুল ইসলাম বলেন, ভুট্টা তুলে জমিতেই রাখছি। এই গরমে কোনো কাজ করতে মন চায় না। গরমে পরিবারে সদস্যরা অসুস্থ হচ্ছে।
এদিকে, তীব্র গরমে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারশ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মেসবাহুল হক বলেন, প্রতিনিয়ত হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের এখানে গড়ে চার শতাধিক মানুষ প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই গরমে বেশি করে পানি খেতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনের বাইরে ঘর থেকে বের না হওয়ায় উত্তম। কেননা এই অবস্থায় জ্বর, সর্দি, বমিসহ নানা রোগ হচ্ছে। লোকজনের পানি স্বল্পতা দেখা দিচ্ছে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আমরা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছি যা আজ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগামীকালও তাপমাত্রা এমন থাকতে পারে।