নাসির উদ্দীন শাহ মিলন , নীলফামারী।
দীর্ঘ কয়েক বছর পর নীলফামারী ডিমলা উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে, শত শত কোটি টাকার অবৈধ পথে আসা ভারতীয় গরুর বাণিজ্য বন্ধের খবর জানা গেছে। হাট বাজার গুলতে দেখা মিলছেনা ভারতীয় গরু। তবে নিত্যপণ্য সহ বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ঈদ ও মাহে রমজানকে টার্গেট করে সীমান্তবর্তী উপজেলা নীলফামারীর ডিমলায় বিভিন্ন অপরাধ চক্র হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠায় প্রশাসনের তৎপরতায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এ সব সিন্ডিকেটের সাথে এলাকার প্রভাবশালী বিশেষ মহল, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষক, শ্রমিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যুক্ত হয়ে গড়ে তুলে একটি সক্রিয় শক্তিশালি গরু চোরা-কারবারির সিন্ডিকেট।আর এ সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জেলায় গরু পাচার করতেন ।
স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় গরু চোরাচালানের অপতৎপরতা কমে গেলেও রাতের আঁধারে বেড়েছে মাদক বিক্রেতাদের দৌরাত্ম্য, চুরি, ছিনতাইসহ নানান অপরাধ। এসব রাতেই বেশী সংগঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে এলাকা বাসী।
ডিমলা পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ খান জানান, আগে চোরাই পথে ভারতীয় গরু আসলে ও এখন তা বন্ধ রয়েছে।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারনে চুরি, ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার আশংকায় ও পবিত্র রমজান মাস কে সামনে রেখে চোরা- কারবারিদের অপতৎপরতা রুখতে ডিমলার বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট সহ টহল জোরদার করা হয়েছে। রাতব্যাপী টহল জোরদার করার কারণে চোরাকারবারী, মাদক ব্যবসায়ীরা অবাধে প্রকাশ্যে রাতে ঘুরতে পাচ্ছেনা, বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের কর্মকান্ড কমে গেছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন জানান, আমরা তাদের সতর্ক করে দিয়েছি। তিনি বলেন, তাদের বলে দেয়া হয়েছে আপনি যত প্রভাবশালী ও শক্তিশালী হন না কেন ভারতীয় গরু হাট বাজারে দেখা গেলে এটা আপনার আমার কারো জন্য শুভ ফল দায়ক হবে না। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম , পিপিএম বলেন, চুরি, মাদক, ছিনতাই, ভূমি দস্যু, চোরা-কারবারি ভারতী গরু বন্ধসহ জেলা পুলিশ সবসময় তৎপর রয়েছে এবং জেলার মানুষ যেন নিরাপদে থাকে সে জন্য প্রতিটি থানাসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ সব সিন্ডিকেটের মুল হোতারা শত শত কোটি টাকার ভারতীয় গরুর ব্যবসা করতে না পেরে প্রশাসন কে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে এলাকার সুধী জনেরা মনে করছে।