নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, ঢাকা শহর কেন পৃথিবীর সবচেয়ে বায়ু দূষণের শহর, কারণ এখানে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প হচ্ছে। আমি জাপানের একজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, ‘আপনাদের দেশে যখন উন্নয়ন হয়, তখন বায়ু দূষিত হয় কি না?’ তখন তিনিও উত্তর দিলেন ‘হয়’।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ আরএফএল-এর গৃহস্থালি পণ্যের ব্র্যান্ড টেল প্লাস্টিকের ‘পরিবেশ উন্নয়ন তহবিল’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, আসলে যারা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন, তারা পরিবেশ রক্ষার নিয়ম মানছেন না। সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ম করে দেওয়া আছে, রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটাতে হবে। কিন্তু তারা ছিটাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার ওপর দিয়ে যখন হেলিকপ্টারে চড়ে যাই, তখন নিচে তাকালে আলকাতরা নদী দেখতে পাই। পরিবেশ তো মন্ত্রণালয় নষ্ট করে না। অথচ আমাদের মন্ত্রণালয়ের শুধু দোষ আর দোষ। পরিবেশ সাধারণ মানুষই নষ্ট করে। তাহলে পরিবেশ ঠিক করার দায়িত্ব তো শুধু মন্ত্রণালয়ের না, সাধারণ মানুষেরও। মানুষ যেখানে সেখানে গাড়ির হর্ন বাজাচ্ছে। আসলে মানুষকে ডান্ডা না মারলে ঠান্ডা হবে না। অথচ বিদেশে গেলে কিন্তু ঠিকই তারা আইন মেনে চলছে।
পলিথিন ব্যবহারের বিষয়ে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, আমাদের সব সমস্যা ওয়ান টাইম প্লাস্টিকে। মাছ-মাংসের বাজারে সীমিত আকার ছাড়া যদি বাকি সবখানে পলিথিন ব্যবহার বাদ দেওয়া যায়, তাহলে ভালো হতো। আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন যে, ‘আপনাদের মন্ত্রণালয় কী করে।’ আমরা যেদিন অভিযান চালাই, সেদিন তো গোডাউন ভরে যায়। যারা পলিথিন তৈরি করছে, নিজেদের বেডরুমে বসেও তৈরি করছে। সবার বেডরুমে গিয়ে কি তল্লাশি করা যায় না কি। তখন তো আপনারাই আমাদের মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করবেন।
পরিবেশ রক্ষার শিক্ষা স্কুল থেকেই দিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা বড় হয়ে গেছে, তাদের মগজ ধোলাই সহজ কথা না। যারা ছোট ছোট বাচ্চা, সবেমাত্র স্কুলে ভর্তি হচ্ছে, তাদের মগজ ধোলাই সহজ। তাদের যদি এটা শেখানো যায়, তাহলেই সচেতন করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে টেল প্লাস্টিকের ‘পরিবেশ উন্নয়ন তহবিল’ উদ্বোধন করেন উপমন্ত্রী। এসময় টেল প্লাস্টিকের পক্ষ থেকে উপমন্ত্রীকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল ও টেল প্লাস্টিকের নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান।
পরিবেশ ঢাকা জলবায়ু