মোঃআজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল।
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার কুন্দশী গ্রামের মহসিন সিকদার ছেলে কামরুল শিকদার, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী কনা বেগম (২৬) কে পিটিয়ে তার পেটের তিন মাসের ভ্রুন নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী কামরুল এর বিরুদ্ধে।
এঘটনায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পেটে মৃত ভ্রুন নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে কনা বেগম। আহত কনা বেগম বলে, ১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে জমির খড় আনার জন্য তার ছেলে মেহেরাব কে মারধর করেন।এরপরে ঘরে গিয়ে ডালির ভাত রান্না করায় কনা বেগম কে চুল ধরে পেটে লাথি, কিল-ঘুষি ও মারে। এতে তার পেটে গুরুতর আঘাত লাগায় বিল্ডিং হতে থাকে পরে স্থানীয় লোকজন তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামরুল শিকদার একজন দুশ্চরিত্রের ও খারাপ স্বভাবের মানুষ। অনেক সময় কারণ বা বিনা কারণে কনা কে মারধর করতেন।কনা বেগম এর সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে, বড় ছেলে মেহেরাব(১৪) ও মেয়ে মারিয়া (৮)। মেহেরাব ও মারিয়া বলে, প্রায় তাদের মাকে তার বাবা দোকান থেকে বাড়িতে এসে বিনা কারণে ও মারতেন। মেহেরাব আরও বলে আমাকে আমার বাবা পড়াশোনা করাবেন না, এনিয়ে মা কিছু বললেই তাকে মারধর করতো, মেহেরাব ক্লাস এইট এর ছাত্র।
কনা বেগম এর বাবা মোঃ তহমান শেখ বলেন, বছর আগে পারিবারিক ভাবে কামরুল সিকদার এর সাথে তার মেয়ে কনা বেগম এর বিবাহ হয়, মেয়েকে তার সংসারে ভালো রাখার জন্য দোকান করতে ৭০ হাজার টাকা একসময়ে দিয়েছেন, এবং মাঝে মাঝে টাকা দিতেন।
তিনি আরও বলেন আমার মেয়েকে এর আগে অনেক বার মারধর করেছে কামরুল। তার জন্য এলাকার বিভিন্ন লোকজন সালিশ মিটিংও করেছে।তারপরও তার মেয়ে যেন ভাল থাকে এই সংসারে এটা ভেবে কিছু বলেননি।কিন্তু আজ যে ঘটনা ঘটিয়েছে এর সুষ্ঠু বিচার প্রশাসনের কাছে তিনি চান।
এবিষয়ে কামরুল ইসলাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন না বলে জানান। এছাড়াও তিনি বলেন, সাংবাদিক আর পুলিশ কি আমার সংসার করাবে, আমার পরিবারে ঝামেলা হয়েছে আপনারা কি করবেন বলে ফোনটা কেটে দেন তিনি।
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কনা বেগম এর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে এবং তার পেটের ভ্রুন নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান।
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।