মোঃ রাসেল হাসান, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
শুরুতে এক বছর আগে একটি লম্বা সময় ধরে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলো তার প্রিয় বন্ধু সেটির বিচার এর জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দ্বার প্রান্তে ঘুরে যখন সঠিক বিচার পায়নি তখন অনাকাঙ্ক্ষিত এ দুর্ঘটনায় জর্জরিত হয়ে গিয়েছিল আব্দুর রহমান ঈশান তীব্র ক্ষোভ আর হতাশায় পৃথিবীটাকে তখন মনে হয়েছিল নরক। সেই থেকে একটি প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামেন আব্দুর রহমান ঈশান। আর কোনো বন্ধু/বোন যেন এ রকম দুর্ঘটনার শিকার না হন তাই ধর্ষণের ও নারী নির্যাতন এরবিরুদ্ধে ঘোষণা করেন যুদ্ধ। শুরু করেন STOP Harassment নামক একটি সংগঠন।
STOP Harassment এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রহমান ঈশান বলেন, এক বছর আগে যখন তার বন্ধু এ নির্যাতনের শিকার হয় তখন তাকে বলেছিল তুই এত ভালো ভালো কাজ করিস শিশুদের ও নারীদের নিয়ে তবে তো নিজের জেলায় কোন কিছু করতে পারিস না তখন এটা আমার কানে লাগে। ওইদিন রাতেই আমি সিদ্ধান্ত নেই এই নারী নির্যাতন বন্ধে কোন একটি কাজ করতে হবে তার সাথে সাথেই স্টপ হ্যারাজমেন্ট এর কথা মাথায় আসে এবং নিজ জেলায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে একটি সংগঠন খোলার চিন্তা-ধারা আসে।
তিনি বলেন, একমাত্র সমাজের মানুষ এগিয়ে আসলেই ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন ঠেকানো সম্ভব। এবং তাদের এগিয়ে আসার পূর্বে অবশ্যই হতে হবে সচেতন কারণ দেখা গিয়েছে ধর্ষণ কিংবা নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা গুলোতে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাটাই উত্তম। সেই প্রতিরোধ করা অর্থাৎ সকলকে সচেতন করা সেটি নিয়ে কাজ করার জন্য স্টপ হ্যারাজমেন্ট এর প্রতিষ্ঠাতা নিজ জেলাতে কাজটি শুরু করে সংগঠনের মাধ্যমে।
তিনি এছাড়াও বলেন, নিজে সতর্ক থাকি অন্যকে সতর্ক রাখি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখেই কাজ শুরু করে সংগঠনটি যার মূল কাজটি হচ্ছে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণ প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করা অনলাইন অফলাইন বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা মানুষকে সচেতন করছে প্রতিটি স্কুলে টিম গঠন করে স্কুলে কর্মশালা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেখা গিয়েছে একটি মেয়ে নির্যাতিত হওয়ার পর সে কি করবে সেটি বুঝে উঠতে পারেনা যার ফলে অপরাধীর অপরাধ ঢাকা পড়ে থাকে তারই জন্যে সর্তক থাকা বাধ্যতামূলক এছাড়াও অনেকেই সঠিক পথ জানে না বিধায় বিচার চাইতে গেলে শিকার হতে হয় নানা হয়রানির এইসব বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই স্টপ হ্যারাজমেন্ট তাদের কার্যক্রম গুলো গুছিয়েছে।
একটি মেয়ে নির্যাতিত হলে কি করবে নির্যাতনের শিকার যাতে না হতে হয় চিঠির জন্য কি করবে সর্বোপরি কিভাবে সে সতর্ক থাকবে সেটি নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন করতেই মূলত কাজ করবে স্টপ হ্যারাজমেন্ট।
তাছাড়া বাল্যবিবাহ রোধে মানুষকে সচেতন করা, প্রশাসন কে অবগত করার মতো কাজ গুলো করে থাকে এই সংগঠনটি৷ সমাজের কিছু সম্ভ্রান্ত মুখ সংগঠনটির পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছে।তারা এই সংগঠন এর কাজের ধরনের দেখে প্রশংসা করেছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন সকল প্রকার সহোযোগিতার।