আগামীকাল ৪ জুন চিলাহাটি থেকে ঢাকা রুটে চালু হতে যাওয়া নতুন আন্ত:নগর ট্রেনের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ পুনর্বহাল ও ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা।
শনিবার (৩জুন) বেলা ১২টায় নীলফামারী- ডোমার- দেবীগঞ্জ সড়কের গাছবাড়ি এলাকায় অবরোধ করে অবস্থান ধর্মঘট করেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। এতে সৈয়দপুর-নীলফামারী-ডোমার-দেবীগঞ্জ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ধর্মঘট কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘ গত ২৯ মে বাংলাদেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিপ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ স্বাক্ষরিত পত্রে ওই ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয় ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’। ৩০ মে রেলপথ মন্ত্রণালয় ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ নাম চূড়ান্ত করে রেলওয়ে দপ্তরকে চিঠি দেয়। আমরা নীলফামারীবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। প্রস্তাবিত নাম অনুযায়ী তারা তাদের জেলার নামে ওই ট্রেনের নামকরণ চান। একইসঙ্গে তারা নতুন ট্রেনে নীলফামারী জেলাবাসীর জন্য ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দ করার দাবি জানান।’
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল ৪ জুন সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সময়ে চিলাহাটি রেলস্টেশন চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ‘এর আগে গত বুধবার (৩১ মে) “নীলফামারী এক্সপ্রেস” নাম পূর্ণবহালের দাবিতে পুনর্বহালের দাবিতে নীলফামারীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে আবারও নীলফামারী রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে নীলফামারীবাসীর ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়।
এ সময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী আন্তনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে নীলফামারী স্টেশনে পৌঁছালে আন্দোলনকারীরা ওই ট্রেন অবরোধ করেন। পরে রেল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৫ মিনিট পর ট্রেনটি ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা।