এস.কে হিমেল, নীলফামারীঃ
নীলফামারীতে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারন ও বীরত্বগাঁথা “মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর” অবদান সম্পর্কে
নীলফামারী জেলা সদরের ১৫নং লক্ষীচাপ ও ৪নং পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে।
৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষীচাপ ইউপিতে মো. আমিনুর রহমান ও পলাশবাড়ীতে ইব্রাহিম তালুকদার চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময়ে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্কুবিহারী ও নীলফামারী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ , বাংলাদেশ আ’লীগ পলাশবাড়ী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মমতাজ আলী প্রামানিক ও সাধারন সম্পাদক শান্তিপদ রায়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিয়নের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ ও ইউপি সদস্য বৃন্দগন, লক্ষীচাপ ও পলাশবাড়ীর ইউপির সচিব জনাব রাজু আহমেদ ও নুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
এসময়ে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন,‘১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা হস্তান্তরের অনীহার কারণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ২৫ মার্চ কালরাত্রে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী বাঙালিদের নিধনে অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে গণহত্যা শুরু করে।
এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেন। তার বলিষ্ঠ আহবানে বাঙালীরা ঝাপিয়ে পড়ে যুদ্ধে।’
আলোচনা সভা শেষে সেখানে সাংস্কৃতিব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।