নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে শব্দ দূষণ রোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৩ এপ্রিল (রবিবার ) সকাল ১১ টা
থেকে দুপুর ১২.৩০ পর্যন্ত নীলফামারীতে দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা এবং দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে শহরের বিভিন্ন স্থানে
শব্দ দূষণ রোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা এবং দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জনাব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক বৈশাখী আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক উত্তম কুমার রায় প্রমুখ সহ সংগঠনে সদস্যবৃন্দ।
দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা এবং দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আব্দুল মোমিন বলেন, শব্দ দূষণ বিষয়টি কত ডেসিবল শব্দে আপনি কতটুকু সময় কাটাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে। ১২০ ডেসিবেল শব্দ সাথেই সাথে কান নষ্ট করে দিতে পারে। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ৮৫ ডেসিবেল শব্দ যদি কোন ব্যক্তির কানে প্রবেশ করে তাহলে তাহলে ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি নষ্ট হবে। মানুষ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ডেসিবেল শব্দে কথা বলে। ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত মানুষের কান গ্রহণ করতে পারে। ৮০ এর উপরে গেলেই ক্ষতি শুরু হয়। বছর কয়েক আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের করা এক জরিপে উঠে এসেছে যে মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে ইতোমধ্যেই দেশের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ঐক্যবদ্ধ কর্ম প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত দিক নির্দেশনা শব্দদূষণকে নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।