মোঃ সাগর আলী, নীলফামারীঃ
নীলফামারী ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামার বিএডিসিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় হুমকির মুখে পরেছে উক্ত খামারের চাষাবাদ।
জানা যায়, পাঁচশত পনের একর জমির উপর অবস্থিত এই খামারের অধিকাংশই নিচু জমি হওয়ায় উক্ত খামারে সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে থাকে পানি। আর সে কারনেই অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায় ক্ষেতের মুল্যবান ফসল।
এভাবে প্রতিবছর ক্ষতি হয় সরকারের কোটি কোটি টাকা। ইতিপুর্বে এই খামারের পানি প্রবাহের জন্য খামার থেকে শুরু হয়ে খামারের দক্ষিণ পুর্ব কোণঘেষে নলঝুরি দোলা হয়ে ভেলসির দোলার উপর একটি নালা খনন করা হয়েছিল এবং সেই পানি এই নালা দিয়ে সোনারায়ের কলমদার নদী হয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কালের বিবর্তনে জনবসতি বেশি হওয়ায় সেই নালা ভরাট করে অনেকে বসতবাড়ী ও আবাদি জমি হিসেবে চাষ করছে আর সে কারনেই সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে থাকে পানি। শুষ্ক মৌসুমে ও এই খামারের মাটি কাদা ও ভেজা থাকার কারনেই আগাম জাতের বীজ আলু উৎপাদন করতে পারেনা খামার কতৃপক্ষ।
খামারের উপপরিচালক আবু তালেব মিঞার ঐকান্তিক চেষ্টায় খামারের ভিতরের পানি নিষ্কাশনের জন্য গত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার নালা খনন করা হলেও বাহিরে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা না থাকায় কাজে আসছেনা এই নালাটি।
এবিষয়ে খামারের উপপরিচালক বলেন, এই খামারের পাশ্ববর্তী এলাকা খমাত পাড়া, টংবান্ধা, কৈগিলাসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার পানি এই খামারের ভিতরে প্রবেশ করে আর এখানকার পানি বাহির হওয়ার তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকায় এখানে সামান্য বৃষ্টিতেই বন্যা প্লাবিত হয় এবং এই খামারের পানি বাহিরে প্রবাহের নালাটি আমাদের এরিয়ার বাহিরে হওয়ার কারনে আমরা এটি খননের কোন পদক্ষেপ নিতে পারছিনা।
জানতে চাইলে, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি দেখেছি এবং খামারের পানি নিষ্কাশন ও সাধারণ জনগণের জলাবদ্ধতার সমস্যা দুর করার জন্য বাইরের এই নালাটি সরকারি ভাবে পুনরায় যেন খনন করা যায় সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।