আব্দুল মোমিনঃ
নীলফামারীতে অনাবাদি,পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ‘বসতবাড়িতে সবজি ও মসলা উৎপাদন প্রযুক্তি শীর্ষক ২ দিন ব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ হয়েছে।
নীলফামারী সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে হল রুমে সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ১৩ ও ১৪ মার্চ অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ‘বসতবাড়িতে সবজি ও মসলা উৎপাদন প্রযুক্তি শীর্ষক ২ দিন ব্যপি কৃষক প্রশিক্ষণ হয়েছে। ৩০ জন কৃষক এর মধ্যে ১৫ জন কৃষক ও ১৫ জন কৃষাণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এসময় প্রত্যেক কৃষককে ১০ প্রকারের সবজি বীজ, মাল্টা, পেয়ারা, পেপে ও সীডলেস লেবুর চারা একটি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতি জনকে ১ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহবুবুর রহমান, নীলফামারী জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোছাঃ হুমায়ারা মন্ডল, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ কামরুল হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মিজানুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
এ সময় প্রশিক্ষকরা কৃষকদের প্রশিক্ষণে বলেন, রাসায়নিক কৃষি উপকরণের এলোপাথারি ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় জলে, স্থলে,অন্তরীক্ষে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। জনস্বাস্থ্য হচ্ছে মারাত্বক হুমকির সম্মুখীন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পরিকল্পিত ভাবে নিরাপদ শাক সবজি,মসলা ও ফল আবাদ করে বার মাসই আমরা নিজেদের ফলের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারি। এই ফসল খেতে সুস্বাদু, বিষমুক্ত এবং বাজার মুল্য ভাল পাওয়া যায়।
এতে করে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি,মসলা ও ফল পাওয়া সহ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। উত্তম কৃষি পদ্ধতি সামগ্রিক কৃষি কার্যক্রম যা অনুসরণে নিরাপদ এবং মান সম্পন্ন খাদ্য ও খাদ্য বর্হিভূত কৃষিজাত পন্য সহজলভ্য, পরিবেশ সুরক্ষা, অর্থনীতি এবং সমাজ সুসংহত হবে।