deshbanglakhobor24
৮ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ৯:১৮ মিনিট
  1. অর্থ উন্নয়ন
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও অপরাধ
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলামিক
  7. কৃষি
  8. খুলনা
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. গল্প ও সাহিত্য
  12. চট্টগ্রাম
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. দেশীয় শিল্প বাণিজ্য

নীলফামারিতে গ্যাস সঞ্চালন প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রতিবেদক
DBkhobor24
মার্চ ৩০, ২০২২ ৬:২৭ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জমি অধিগ্রহণের মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই নীলফামারীর সৈয়দপুরে শুরু হয়েছে গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন প্রকল্পের কাজ। এতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ।

৩০ মার্চ বুধবার উপজেলার বাগডোকরা মৌজার ধলাগাছ মতির মোড় এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, দেশের উত্তর জনপদে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টিসহ বাণিজ্যিক ও অন্যান্য গ্রাহকের গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ১০০০ পিএসআইজি এর ৩০ ইঞ্চি ব্যাস পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। ওই কাজের মোট বরাদ্দ ১ হাজার ৩শ’ ৭৮ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। জিটিসিএল কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের মে মাসে প্রকল্প এলাকার জমি অধিগ্রহণের জন্য চিঠি দেয়। রুট ম্যাপ ও জরিপ কাজ শেষ করে স্থানীয় প্রশাসন।

করোনা প্রাদূর্ভাব ও অন্যান্য কারণে দীর্ঘদিন বন্ধের পর সম্প্রতি আবারও শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। মাঠে লাগানো বোরো ধানক্ষেত নষ্ট করে বসানো হচ্ছে পাইপ লাইন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বাঁধা দিলে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দ্রুত ক্ষতিপূরণের মৌখিক আশ্বাস দেন। কিন্তু ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও কৃষকরা জমির মূল্য নির্ধারণের নোটিশ (৮ ধারা) না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। ফলে উল্লেখিত দিনে বাগডোকরা মৌজার কৃষকরা প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেন। এসময় তারা ৮ ধারা নোটিশ প্রদানের অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে।

এসময়ে ওই এলাকার কৃষক ইউসুফ আলী, আজাদুল ইসলাম, ওমেদুল ইসলাম বাবলু, আমজাদ হোসেন, আব্দুল খালেক, জামাল হোসেন জাদু, মোঃ দবির উদ্দিন, আসলাম উদ্দিন, আব্দুস সামাদ, মজিদুল ইসলামসহ অনেকে অধিগ্রহণ ও দখলকৃত জমিতে সকল কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন করেন জেলা প্রশাসক বরাবর।

তারা বলেন, আর কয়েক দিন গেলে আমরা বোরো ধান পেতাম। আমরা সেই ফসলি জমি নষ্ট করে গ্যাস লাইনের জন্য দখল ছেড়ে দিলাম। কিন্তু এখনো আমরা ৮ ধারা নোটিশ পেলাম না। ৮ ধারা নোটিশ না পেলে আমরা কিভাবে বুঝবো আমাদের জমির মূল্য কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৮ ধারা নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত কাজ করতে দেবেন না বলে ওই এলাকার কৃষকরা জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ