সাকিল ইসলাম, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি।
ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও একুশের চেতনাকে লালন, ধারণ ও বিস্তার ঘটানোর জন্য নীলফামারী শহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সীমানা প্রাচীর রং-তুলিতে আঁকা হয়েছে দীর্ঘ আলপনা। জেলা শহীদ মিনার সংলগ্ন পূর্ব দেওয়ালের প্রাচীরে আলপনা আঁকায় অংশ নেন ভিশন-২০২১ এর স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। দেওয়ালে আঁকা লাল, নীল, হলুদ, সাদাসহ নানা রঙের বর্ণিল আলপনা মানুষের নজর কেড়েছে।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আলপনা আঁকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান।
দেওয়ালে আঁকা লাল, নীল, হলুদ, সাদাসহ নানা রঙের বর্ণিল আলপনা মানুষের নজর কাড়ছে।
আলপনা আঁকতে আসা স্কুল শিক্ষার্থী সিনথিয়া আক্তার বলেন, ‘ভাষার জন্য কোনো কিছু করতে না পারলেও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য আলপনা আঁকতে আমার খুবি ভালো লাগে। শহীদদের জন্য যেটুকু সময় পাই তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। তাই আজ এখানে আলপনা আঁকতে এসেছি।’
স্থানীয় উদাস রহমান বলেন, ‘একুশের চেতনাকে ধারণ ও বিস্তার করার জন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম আলপনা আঁকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।’
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী আর্নিকা ও সোহানী আলপনা আঁকতে এসেছে। তারা বলে, ‘এর আগে এখানে আলপনা আঁকার সুযোগ পাইনি। প্রতিবার বড় আপুরা এখানে আলপনা আঁকতেন। এবার আমাদেরও সুযোগ হয়েছে। যতটুকু পেরেছি এঁকেছি। আলপনা আঁকতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।’
নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান বলেন, ‘আগে আলপনা এঁকে শিশুসহ নতুন প্রজন্মকে পথ দেখানো হতো। ভাষা আন্দোলনে শহীদরা কতটা ত্যাগ শিকার করেছিলেন তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের কর্মীরাও আলপনা আঁকায় অংশ নেন।’
নীলফামারী পৌরাভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, ‘একুশ মানে ভাষা শহীদদের হারানোর শোক। একুশ মানে মাতৃভাষাকে অর্জনের গৌরব। আমরা আলপনার মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই একটি কথা—আসুন, আমরা এভাবে সুন্দর করে দেশটা সাজাই।’