নাসির উদ্দীন শাহ মিলন ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর ডোমারে মহান স্বাধীনতা দিবস এর অনুষ্ঠান বর্জন করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের অভিযোগ স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সন্তানের হাতে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার প্রতিবাদে তারা অনুষ্ঠান বর্জন করেন। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের চরম প্রতিবাদ ও হট্টগোলের কারণে পতাকা উত্তোলনের ৪মিনিট বিলম্ব হয়।
ডোমার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদকে স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে তার হাত দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
সাবেক কমান্ডার নূর নবী, পৌর আহ্বায়ক ইলিয়াছ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানি, আব্দুল জব্বার কানু, আমিনুর রহমান, আশিকুর রহমান, ফজলুল করিম বজু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড এর উপজেলা আহ্বায়ক আল আমিন রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান চয়ন প্রমুখ অনুষ্ঠান বর্জন করে মাঠ ত্যাগ করে চলে যান।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুন্নবী অভিযোগ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। জাতীয় পতাকায় স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের কারো হাতের ছোয়া লেগে আমরা এই দিবসকে কলঙ্কিত করতে চাই না। তাই আমরা এ অনুষ্ঠান বর্জন করলাম।
মুক্তিযোদ্ধারা আরো বলেন, তোফায়েল আহমেদের বাবা শওকত আলী সরকার একজন রাজাকার। বাংলাদেশ সরকার ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের নথিতে প্রকাশিত তালিকায় ১০২৫, দাদা চাটি মামুদ ১০৬১ এবং নানা ছমির উদ্দিন সরকারেরও ১০২৪ সিরিয়ালে নাম রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, সাবেক কমান্ডার নুরুন্নবী উপজেলা নির্বাচনে আমার সাথে পরাজিত হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে হৃদয়ের স্বাধীনতা প্রাঙ্গনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়েছে এবং পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি – আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান,আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মিসহ সর্বস্তরের জনগন উপস্থিত ছিলেন।