নাসির উদ্দিন শাহ্ মিলন, নীলফামারীঃ
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় আবারও নতুনভাবে আগুন খাওয়া পার্টির তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষসহ পুলিশ প্রশাসন। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে এলাকার বাসিন্দারা।
সরেজমিন এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, বিভিন্ন হত্যা, খুন, গুম,বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, চোরাকারবারী মাদক বাণিজ্য, জমিদখল সহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর মত বিভিন্ন অপরাধ মুলক তৎপরতা দীর্ঘ কয়েক বছর পর আগুন খাওয়া পাটি পুনরায় সক্রিয় হওয়ায় ভাবিয়ে তুলেছে সীমান্ত ঘেঁষা ডিমলা উপজেলার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে। অভিযোগে জানা যায়, এ আগুন খাওয়া পার্টির সদস্যদের নামে প্রায় ৫০ টির ও বেশি মামলা রয়েছে। আর এ পার্টির সদস্য সংখা প্রায় ১ হাজারের উপরে বলে জানা যায়।
চোরা কারবারির স্বর্গভূমি হিসেবে খ্যাত এ উপজেলা দিয়ে তিস্তা নদী থাকায় নদী পার হয়ে শত শত ভারতীয় গরু এ চোরাই পথে প্রবেশ করে । আবার এসব নিয়ন্ত্রন করে আগুন খাওয়া পার্টির একটি সিন্ডিকেট। এছাড়াও প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন পাথর, বালু উত্তোলন করে এ চোরাই পথে বিক্রি ও নিয়ন্ত্রন করছে এ আগুন খাওয়া পার্টি। আর এ পথেই ভারতীয় মাদকদ্রব্য পাচারের নিরাপদ সড়ক বানিয়েছে এই সিন্ডিকেটটি এবং নিয়ন্ত্রিত হয় এ পার্টির সদস্যদের দাঁড়ায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এরা পারেনা এমন কোন কাজ নেই, আপনাদের আমরা এই কথা বলছি জানতে পারলে আমাদের শেষ করে দিবে।
অনেকে বলছেন, এ আগুন খাওয়া পার্টি একজন প্রভাবশালী নেতার নেতৃত্বে আইনজীবি, চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সখ্যতা রয়েছে। সম্প্রতি রাত্রী কালীন পুলিশের টহল কার্যক্রমকে বাধা গ্রস্থ ও প্রশ্নবিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে আবার ও সক্রিয় হতে চলেছে আগুন খাওয়া এ পার্টির সদস্যরা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, গভীর রাত পর্যন্ত দোকান পাঠ খোলা রেখে অপরাধীরা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন, প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি, মাদক সেবন সহ নানা অনৈতিক কমকান্ডের জন্ম দিচ্ছে কিশোর গ্যাং সহ আগুন খাওয়া পার্টির সদস্যরা। এছাড়াও ভয়ংকর এ আগুন খাওয়া পার্টি নিজেদের স্বকীয়তা ফিরে পেতে থানা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে বাধা গ্রস্ত করছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে জনমনে। তারা পুলিশ প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছে।
এবিষয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন, বিভিন্ন কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আমরা তাদের সতর্ক করে দিয়েছি, আমরা জানিয়ে দিয়েছি যত বড় প্রভাবশালী ও শক্তিশালী হন না কেন কোন ধরনের অপরাধ সংগঠিত করলে এটা আপনার আমার কারো জন্য সুফল হবে না।