deshbanglakhobor24
৮ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ৯:৩৯ মিনিট
  1. অর্থ উন্নয়ন
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও অপরাধ
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলামিক
  7. কৃষি
  8. খুলনা
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. গল্প ও সাহিত্য
  12. চট্টগ্রাম
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. দেশীয় শিল্প বাণিজ্য

ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে বাঁশ টাঙ্গিয়ে পাহারারত আলমগীর

প্রতিবেদক
DBkhobor24
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২ ৭:৪০ অপরাহ্ণ

নাসির উদ্দিন শাহ্ মিলন, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

আলমগীর হোসেন (৪৮) পেশায় ভ্যান চালক ও চা দোকানি। গত ২৬ জানুয়ারী সকালে দারোয়ানী রেল স্টেশনের ট্রেনের ধাক্কায় ইজিবাইকের চারজন উত্তরা ইপিজেডের নারী শ্রমিকের মারা যাওয়া নিজ চোখে দেখেন তিনি। চোখের সামনে এমন দূর্ঘটনা সে কোনো দিন দেখে নাই।

এ ঘটনায় তিনি অনেক মর্মাহত হয়ে এখন নিজ উদ্যোগে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ওই অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধের কাজ। ঘটনার পরদিন থেকে ট্রেন আসার পূর্ব মুহুর্তে দুই পাশ্বে বাঁশ বেঁধে বন্ধ করে রাখেন রেলক্রসিং। কলার পাতা উড়িয়ে দেন সিগনাল। আলমগীর হোসেন নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের দারোয়ানী শাহপাড়া গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।

এমন মহৎ দায়িত্ব পালনে এখন প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। সন্তুষ্ট নিজের পরিবার ও স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘রাত দুইটা, ভোর পাঁচটা এবং দিনের মধ্যে ট্রেন আসার আগেই রেলক্রসিংয়ে হাজির হন আলমগীর। তিনি আগে ভ্যান চালক ও ছোট একটি চা দোকান করতেন। এখন সব বাদ দিয়ে শুধু মানুষকে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে বিনা বেতনে রেলক্রসিংয়ে বাঁশ লাগিয়ে দেন ও কলার পাতা উড়িয়ে সিগনাল দেন। ’

স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম (৪৫) বলেন,‘মোর স্বামী রেল গেটের দিন রাত পাহাড়া দেয়।স্বামী আগোত ভ্যান চালাইছিল এখন রেলক্রসিং দেখি বেড়ান। কোনো কামাই রোজগার নাই এখন। ছোট একটি চা দোকান আছে হামার সেটা মুই চালাওছো। দোকান থাকি যা আয় হয় দিয়া সংসার চালাও। হামার অভাব হইলেও মোর স্বামী রেলক্রসিংয়োত বাঁশ দিয়ে যে কাজ করেছে তাতে হামরা খুশি।’

এই উদ্যোগের বিষয়ে আলমগীরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘মোর চোখের সামনোত অটোত ট্রেনের ধাক্কায় উত্তরা ইপিজেডের চারজন মহিলা শ্রমিক এক সাথে মইল, আরো চাইর জনের ঠ্যাং পাও ভাঙ্গিয়া পঙ্গু হয়া পড়ি আছে। হামার এদি অনেক মানুষ যাওয়া আইসা করে। সকালে আর সন্ধায় ইপিজেডের মানুষলা বেশি যায়। তাই মানুষ এ্যাংকরিয়া যেনো কাহো না মওে সেই জন্যে মুই এখন গেটোত বাঁশ টাঙ্গিয়া বসি থাকো। মুই মানুষের ট্রেন থাকি জীবন বাচাইম, এইটাই মোর শান্তি।’

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ বলেন, ‘রেলক্রসিং মানুষের মরণ ফাঁদ। নিঃসন্দেহে আলমগীরের কাজটি মানবিক কাজ। তাকে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।’

নীলফামারী রেল স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল রহমান রতন জানান, নীলফামারীতে রেলক্রসিং রয়েছে ৩৮টি। এর মধ্যে গেটম্যান আছে ১২টিতে। অবশিষ্ট ২৬টি অরক্ষিত।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত