আনোয়ার হোসেন, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক জালাল উদ্দীন ও তার পরিবার মানবেতর জিবন যাপন করছেন। জালাল উদ্দীন মন্ডল, পিতাঃ মৃত জাফর উদ্দিন মন্ডল, গ্রামঃ নওদাপাড়া, থানা জেলা ঝিনাইদহ।
তিনি আওয়ামী লীগের জন্ম লগ্ন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করেন। জিবনে কখনো নৌকা প্রতিকের বাইরে ভোট প্রদান করেননি। ২০০৪ সালে ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। নৌকা প্রতিকে ভোট প্রদান করায় বি এন পি জামাত জোট সরকারের আমলে অনেক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন।
বেশ কয়েক বার তার বাড়িতে রাতের আধারে হামলও করেছেন তাকে মেরে ফেলার জন্য। সংসার জিবনে এক স্ত্রী ও তিন সন্তানের জনক জালাল উদ্দীন তার একটি বিধবা বোন মমতাজ বেগম নিয়ে এখন খুবই কষ্টে জিবন যাপন করছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গিকার ও ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বাঙালি জাতি ১০ টাকা কেজিতে চাউল পাবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়েছে বিধায় আমার নামে ইস্যুকৃত কার্ডের মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাউল পেয়ে বেঁচে আছি তারপরও প্রায় চার মাস চাউল পায় না । আমার বোনটি বিধবা নারী তার নিজস্ব কোন ঘর নাই। আমার একটি একটি ঝুপড়ি ঘরে সে থাকে। বাড়িতে বিধবা বোনটি সেও এই সুযোগ টুকু পেয়েছে যার দরুন একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি। এভাবেই বলছিলেন কষ্টের কথা গুলো।
পরিবারটির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে নিজের বাড়ি ঢোকার কোন পথ বা রাস্তা নেই। অনেক চেষ্টা তদবির করেও বাড়ি যাবার রাস্তাটি বের করতে পারেননি। মধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিত ট্যাস্ক পরিশোধ করেন জালাল উদ্দীন তারপরও প্রায় ৩০ বছর কোন চেয়ারম্যান মেম্বার রাস্তাটির ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। ভোট এলে অনেকেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে যায় পাস করলে আর মনে থাকে না আমার মতো জালালের কথা।
তিনি আরও বলেন একবার তহুরুল হক তহু মধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তখন তিনি কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীর আওতায় একটা কার্ড করে দিয়েছিলেন তারপরে আর কোন জনপ্রতিনিধি কোনদিন কোন সুযোগ সুবিধা দেয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় দেশের উন্নয়ন হলেও প্রকৃত আওয়ামী লীগের কর্মীদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।
মাঝে মধ্যে মনে হয় আমার কষ্টের কথা গুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট গিয়ে বলবো কিন্তু অর্থনৈতিক অস্বচ্ছতার কারনে পেরে উঠি না।বড় ছেলেটা একটা বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করে কোন রকম তার নিজের সংসার চালান, মেয়েটির বিবাহ দিয়েছি ছোট ছেলেটার কোন গতি করতে পারিনি বলতে বলতে চোখ থেকে পানি ছেড়ে দিলেন জালাল উদ্দীন। কতটা কষ্ট পেলে মানুষের চোখে জল আসে তা আজ দেখা গেল জালালের দুনয়নে।
তিনি বললেন বর্তমানে হাইব্রিড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কারনে ত্যাগী আওয়ামী লীগের কর্মীরা নির্যাতিত হচ্ছে ও সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ২নং মধুহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোমিনুর রহমান মমিন বলেন জালাল চাচা একজন প্রকৃত আওয়ামী লীগের লোক তিনি অনেক কষ্টে জিবন যাপন করেন। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও জালাল চাচারা অবহেলিতই রয়ে গেছেন।