গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক সার্কুলার নং-শাখা ৫/১ এম-২৬/৮৩/৪৫১/৯(৬০) তারিখ ২৯/০১/১৯৮৩ ইং উক্ত বাড়িটি তাদের পরিবারের নামে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করেন এবং উক্ত লীজ গ্রহীতার ওয়ারিশগণ বিক্রয়ের প্রথম কিস্তির টাকা পরিশোধ করেন। বর্তমানে বাকি টাকা জমা দেয়ার সময় রহিয়াছে এবং তার ওয়ারিশ মোছাঃ শাহানুর সরকার, শাহনেওয়াজ আলী সরকার, আবু হাসনাত আলী সরকার তারা সকলেই নিয়ামতপুর বাসী।
উক্ত বাড়িটি রাস্তার ধারে অধিক মূল্যবান হওয়ায় কুচক্রী ভূমিদস্যুদের নজরে পড়ে, তারা গত বৃহস্পতিবার ২৩শে মার্চ জনৈক ব্যাক্তিকে ভূয়া মালিক সাজিয়ে ১৪৪৯ নং দলিল তৈরী করে ভূয়া দাগ ও খতিয়ান নাম্বার উল্টাপাল্টা বসিয়ে উক্ত দিনেই গভীর রাতে জমির কোন অস্তিত্ব না থাকায় তারা শাহানুর সরকার গং এর লীজকৃত ও বিক্রয়ের প্রস্তাবকৃত সরকারী বাড়ির গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে বাড়িতে অবস্তানরত মালিকপক্ষকে স্থানীয় ভূমিদস্যু , বিশেষ বাহিনী ও নেতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িটির দখল নেয় এবং বাড়ির মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরের দিন মোছাঃ শাহানুর সরকারের স্বামী জাকিরুল ইসলাম মিলন সেখানে উপস্থিত ভূমিদস্যু ক্যাডারদের প্রশ্ন করলে তারা বলে তারা বাড়িটি কিনে নিয়েছে এবং বেশী বাড়াবাড়ী করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারপরেও জাকিরুল ইসলাম মিলন সরকারী বাড়ি কিভাবে কিনলেন জানতে চাইলে তিনি কোন সৎ উত্তর দিতে পারেনি ।
ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় উক্ত সরকারী বাড়ি ক্রেতা ডাঃ মনিরুল ইসলাম মনির সেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলে জমিটি তিনি কিনেছেন সরকারী বাড়ি কিভাবে কিনলেন জানতে চাইলে তিনি সঠিক কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই।
তিনি বলেছেন যে সমস্ত গ্যাঞ্জাম ছিলো সৈয়দপুরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সবকিছু সেটেল হয়েছে বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই আপনার সাথে দেখা হবে এবং উক্ত শাহানুর সরকার স্থানীয়ভাবে আইন কানুনের সহায়তা না পেয়ে গত ২৮/০৩/২০২৩ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর ভূমিদস্যু কর্তৃক ১৬৩ নং বাড়িটির অর্ধেক দখল ও লুটপাঠের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, তার প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে বলে তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও আবেদন করেন।