নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২২) সকালে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে অনুষ্ঠিত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহতদের ও জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের স্মরণ করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জাপানের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূত জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই জাপান বাংলাদেশের পরিক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশে-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি সূচিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে জাপান সফরের মাধ্যমে বিগত ১৩ বছরে আরও ব্যাপক ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
আলোচনা পর্বে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাতসুহিরু হরিগুচি, জাপান বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, সাবেক রাষ্ট্রদূত কিইয়কাজু ওটা এবং টোকিওস্থ দূতাবাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যের শিল্পী ড. ওতসুবো ওসামু বক্তব্য দেন। বক্তারা মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান ও বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।