নীলফামারী জলঢাকায় দলীয় নিয়মশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে তিন জনকে স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।বহিস্কৃতরা হলেন,জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল উপজেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক গোলাম রব্বানী রিপন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দুলাল হোসেন ও যুগ্ম আহবায়ক আবু তোরাব ইমন।
২৯ মার্চ ২০২৩ বুধবার স্বেচ্ছাসেবক দল নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আবু সুফিয়ান রুমেল ও সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আজমের যৌথ স্বাক্ষরিত এক পত্রে বহিষ্কার আদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখিত পত্রে ও দলটির একাধিক সুত্রে জানা যায়, গত১৮মার্চ(২০২৩) তারিখে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্দেশে উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল ১৮ তারিখ বিকেলে পৌরসভার পুরনো কেজি মুন স্কুলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সভা চলাকালীন সময়ে বহিস্কৃতদের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক বহিরাগত সভাস্থলে আগমন করে এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে জেলা নেতৃবৃন্দ সহ উপস্থিত অনেককেই শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও আহত হয় এবং সভা পন্ড করার চেষ্টা চালায়।
এ পরিস্থিতিতে ( ১৯ মার্চ ২০২৩)জেলা কমিটি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস পাঠিয়ে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে উত্তর বা জবাব চেয়ে প্রাথমিকভাবে পত্র দেন। উত্তর বা সঠিক জবাব না পাওয়ায় অভিযুক্ত ওই তিন নেতাকে দলীয় সকল কর্মকাণ্ড ও সকল পদ- পদবি, (প্রাথমিক পদ) হতেও বহিষ্কার করেন, কেন্দ্রের নির্দেশে জেলা কমিটি।
দলটির জেলা সভাপতি আবু সুফিয়ান রুমেল বলেন,জলঢাকা স্বেচ্ছাসেবক দল একটি সুশৃঙ্খল ও গতিশীল (বিএনপির) অংঙ্গসংগঠন রাজনৈতিক দল। এই দলে অনুপ্রবেশ কারী একটি শক্তি; এ রাজনীতিকে ধ্বংস করার অপকৌশলের অংশ হিসেবে আমাদের উপস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। সৃষ্ট পরিবেশ নিয়ে কেন্দ্রে জানিয়েছি, আপাতত ০৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিয়েছি।দলকে দুর্বল করার জন্য পর্দার আড়াল থেকে যাঁরা কলকাঠি নাড়ছে,এদেরকে চিহ্নিত করে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে অচিরেই!