স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারী সদরের কচুকাটা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাড়াল কাঠা নদীর বালু ইজারা নেয়ার নামে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনিছুর কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, কচুকাটা ও কিশোরগঞ্জে এলাকায় দিয়ে বয়ে যাওয়া চাড়াল কাঠা নদীর তীরের বালু আনিছুর ইনস্ট্রাকশন ইজারা নেয়। কিন্তু নির্ধারিত সীমানার বালু নেয়া শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি পাশের চারটি ফসলি জমির মাটি কাটা শুরু করে।
এতে জমির মালিকরাসহ স্থানীয়রা কয়েকবার বাধা দিলেও তারা মাটি কাটা অব্যাহত রাখে।এ অবস্থায় উপায় না দেখে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নীলফামারী শাখায় লিখিত অভিযোগ জানান। তবে এ ঘটনায় পাউবো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘নদীভাঙন রোধ করতে আমরা আমাদের ফসলি জমি ছেড়ে দিই। কিন্তু অবৈধভাবে তারা এখন আমাদের আবাদি জমি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে নদীভাঙনও বাড়বে বলে জানান।’
অপর এক বয়ষ্ক মহিলা আন্জুয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়ে নেই, স্বামীও চলাচল করতে পারে না। সামান্য জমিতে আবাদ করে সংসার চালাই, এখন সেটুকুও নিয়ে গেল ওরা। ‘হাতে-পায়ে ধরছি, তাও কেউ দয়া করেনি। এখন ভিক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই আমার।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনিছুর কনস্ট্রাকশনের মালিক আনিছুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
তবে পাউবো সৈয়দপুরের নির্বাহী প্রকোশলী কমল কৃষ্ণ রায় বলেন, ‘নদী গভীর করে খনন করা বা ফসলি জমি কাটার অনুমোদন নেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। অভিযোগ সত্যি হলে ওই প্রতিষ্ঠানের জামানত বাতিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’