মো.শফিকুল ইসলাম,চট্টগ্রাম:
বগুড়া হতে জোরপূর্বক অপহরণকৃত ১৪ বছরের মেয়েকে চট্টগ্রাম হতে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবসার জানান,গত ২৩ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে মো.শাকিল আহম্মেদ (৩৫), পিতা-মুত আব্দুল গণি, সাং- নিজ বাটিয়া, থানা সারিয়াকান্দি, জেলা- বগুড়া, সারিয়াকান্দি থানায়
অভিযোগ করেন যে, তার মেয়ে শাকিলা
আক্তার’কে মো.নুরনবী কাজী প্রেমের প্রস্তাব দেয়।
তার মেয়ে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে মোঃ নুরনবী কাজী তার মেয়ে’কে অপহরণ করে
নিয়ে যাবে বলে জানায়।
এমতাবস্তায় গত ২২ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ ০৯৩০ ঘটিকায় স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ী থেকে রওয়ানা হয়ে সারিয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের মেইন গেইটে পৌঁছালে মো.নুরনবী কাজী অজ্ঞাতনামা সিএনজিযোগে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে
জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং চট্টগ্রামে অবস্থান করে।
ভিকটিমকে উদ্ধার ও জড়িত আসামীকে আটকের জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রামে অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অপহরণকারী চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন সিইপিজেড এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখ ১৫১৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি অভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মো.নুরনবী কাজী (২৫), পিতা- মৃত শািফক কাজী, সাং-মেঘাগাছা, থানা ও জেলা বগুড়া’কে আটক করে এবং ভিকটিম অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, সে অসৎ উদ্দেশ্যে বাদীর অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে অপহরণ করে আত্মগোপন করেছিল।
আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সারিয়াকান্দি বগুড়া রোডে ভিকটিমের বাড়ীর পাশের রাস্তায় একটি মারাত্মক দূর্ঘটনায় পড়ে প্রতারক নুরন্নবী। ভিকটিমের বাবা শাকিল হোসেন ও তার মা এবং সে নিজেও প্রথমে বাড়ীতে ও পরে
হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে। প্রতারক নুরুন্নবী ইতোপূর্বে দুবার বিবাহিত ছিল, বর্তমানে একটি স্ত্রী ও এক শিশুপুত্র মেহেদী থাকা সত্বেও এসব গোপন করে নিজেকে নির্বাচিত কমিশনারের ছেলে ও ৬ টি গাড়ীর মালিক ইত্যাদি সহ নানা মিষ্টি কথা বলে ফুসলিয়ে ভুলিয়ে বাসার বাইরে বের করে তার নিয়ন্ত্রন নিয়ে অপহরন করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিম সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের নিমিত্তে বগুড়া জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।