সোহেল রানা, রাজশাহী প্রতিনিধি।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ পালন করা হয়েছে।
৭ ই মার্চ সোমবার ১১টার সময় ১৯৭১সাল ৭ই মার্চ এর ঐতিহাসিক ভাষণ,বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শকে ধারণ,আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানে আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী-১ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
আরোও উপস্থিত ছিলেন,সহকারী পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী সার্কেল আসাদুজ্জামান, গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম। গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা ও দেওপাড়া বেলাল উদ্দিন সোহেল, গোদাগাড়ী পৌর আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কাউসার মাসুম সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দা, ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্ত ও গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক চৌধুরী বলেন,
১৯৭১ সালে ৭ মার্চ এসেছিল এক ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমিতে। পাকিস্তানের চব্বিশ বছরের ইতিহাস ছিলো শোষণ-বঞ্চনার। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কৃত্রিম রাষ্ট্রটি শুরু থেকেই ছিল বাঙালিবৈরি। বাঙালি তার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে গেছে অব্যাহতভাবে।
এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন বাঙ্গালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল ভোটে বিজয়ের পরই এটা স্পষ্ট হচ্ছিল যে, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তারা নানা কৌশলে কালক্ষেপণ করছিল আর বাঙালির বিরুদ্ধে হামলে পড়ার জন্য সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল। বঙ্গবন্ধু এসব জানতেন। তাই ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বাঙালি জাতিকে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়েছেন।
পৃথিবীর সেরা রাজনৈতিক ভাষণের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ব্যতিক্রমী এবং অনন্য। অন্য সব সেরা ভাষণ ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি লিখিত ছিল না। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার মনের কথা জনতার উদ্দেশ্যে বলেছেন। আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন’। তিনি জনতাকে তার সহযাত্রী মনে করেছিলেন। যে সহযাত্রীর সব কিছু সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল। উভয়ের দুঃখ-বেদনা আশা-আকাঙ্ক্ষা এক। কেউ কারও চেয়ে কম জানে না বা বোঝে না।
প্রকৃত নেতা কখনও তার কর্মী-সমর্থকদের ‘কম বুদ্ধিমান’ মনে করেন না। যেমন করেননি বঙ্গবন্ধু। তিনি শুধু বাস্তবতার দিকগুলো তুল ধরেছেন। সাধারণ মানুষের অনুভূতিগুলোকে নিজের অনুভূতির সঙ্গে ঝালিয়ে নিয়েছেন। একপর্যারে উপস্থিত জনতার সঙ্গে এতোটাই একাত্ম হয়ে পড়েছেন, কখন যে জনতা ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’তে পরিণত হয়ে গেছে তা না-বক্তা, না-শ্রোতা কেউই খেয়াল করেননি। ভাষণের একপর্যায়ে তিনি বলেছিলেন।