বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করলেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন। শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সমাবেশে গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশী হয়রানি ও দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উর্দ্ধগতি, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান নেতারা। এতে বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হন। তবে অভিযোগ উঠেছে, সমাবেশে আসার সময় বেশ কিছু এলাকায় বাধার মুখে পড়তে হয় উপজেলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানেই গণতন্ত্র হত্যা হয়। আর যেখানে বিএনপি সেখানেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করলেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ আপোষে ক্ষমতা ছাড়বে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারকে গায়ের জোরে বিদায় করতে হবে। কোনো দশ দফা দাবির দরকার নেই। এক দফা দাবি শেখ হাসিনার বিদায়।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, আজকে মানুষ বাজারে গেলে তাদের নাভিশ্বাস ওঠে। মানুষের ভোটের অধিকারকে তারা কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ আজকে দেশে দুর্নীতি করে দেশের টাকা বিদেশে পার করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন এই দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আর আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে হলে রাজপথে আন্দোলন প্রয়োজন। এ সময় জেলা বিএনপির নেতারা ঘোষণা দেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পর দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট. একেএম মাহবুবর রহমান, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি গোলাম মো. সিরাজ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামসহ প্রমুখ।
জনসমাবেশের সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা সহিদ-উন-নবী সালাম, কে.এম. খায়রুল বাশার এবং জাহিদুল ইসলাম হেলাল।
সমাবেশ শেষে বিএনপির নেতারা জানান, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও গাবতলী উপজেলা থেকে আসার পথে তাদের লোকজনদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তাদেরকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। পরে তারা হেঁটে এসেছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা বলেন, আমাদের অনেকগুলো বাস শহরে আসতে দেয়নি। এ জন্য অনেক কর্মীরা সমাবেশে আসতে পারেননি।তবে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।