সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
বিশেষ সংবাদদাতাঃ
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এ দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাখো জনতার বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ মহান নেতার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বীর বাঙালি দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
ঐতিহাসিক এ দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) সেজেছে নতুন সাজে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন তথ্য অধিদপ্তর এবং চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের উদ্যোগ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ প্রদর্শনীতে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা হয়।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিশুপার্কের অদূরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশদ্বারের সামনে থেকে শিখা চিরন্তন পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। রঙিন বাতির সাজসজ্জাও চোখে পড়ে।
এ উদ্যানে যারা নিয়মিত প্রাতঃভ্রমণে আসেন তারা হাঁটা থামিয়ে সময় নিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বিভিন্ন উক্তি পড়ছিলেন। কেউ কেউ মুগ্ধ নয়নে উদ্যানের শিখা চিরন্তনের অদূরে রাস্তার দুপাশে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন বয়সের আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্থিরচিত্র দেখছিলেন। কেউ কেউ আবার প্রদর্শিত আলোকচিত্র বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছিলেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
বৃদ্ধ মতিন মিয়া ও আনোয়ার হোসেন নামে এক তরুণ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আলোকচিত্র দেখছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেন এ প্রতিবেদক।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
মতিন মিয়া জানান, যুদ্ধের সময় ছোট ছিলেন। এখানে প্রদর্শিত আলোকচিত্রগুলো দেখে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে তার।
আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী আনোয়ার হোসেন বলেন, বাপ-দাদার মুখে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক হানাদার বাহিনীর নৃংশসতা ও দেশের স্বাধীনতার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ লাখো জনতার অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দেওয়ার ইতিহাস শুনেছি। স্থিরচিত্রগুলো দেখে বুকের ভেতরে ভিন্ন ধরনের অনুভূতি কাজ করছে।
৭ই-মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ-হাসিনা