নাসির উদ্দিন শাহ্ মিলন, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব-ছাতনাই ইউনিয়নে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় তীস্তা নদীর দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী আন্তজার্তিক সীমানা পিলার নির্মানের লক্ষ্যে পরিদর্শন করেছে দুই দেশের প্রতিনিধি দল।
রবিবার (২০ফেব্রুয়ারী) পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা বাংলাদেশের দোহলপাড়া ও ভারতের সিংমারী মধ্যবর্তী তীস্তা নদীর চরাঞ্চলে অবস্থিত সিমানা পিলার পরিদর্শন করেন দুই দেশের প্রতিনিধি দল। উভয় দেশের প্রতিনিধিরা ৭৯৭ নং মেইন সীমানা পিলার সহ পাঁচটি পিলার পরিদর্শন করেন।
ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলাদেশের পক্ষে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের এবং পশ্চিম বঙ্গের ল্যান্ড রিকুজিশন এন্ড সার্ভে এর পরিচালক (এলএসএস) অভানিন্দ্র সিং ভারতীয় ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আজমল হোসেন, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবনুল আবেদীন, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান সহ উভয় দেশের বিজিবি-বিএসএফ প্রতিনিধিরা সহ আরো অনেকে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যার ফলে তিস্তা নদীর দুই দেশের আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তিস্তা নদীর চরে বসবাসরত পরিবারগুলো চরের জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষাবাদসহ বসবাস করে। সীমানা পীলার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরাও টহল দিতে বিপাকে পড়েন । তাই সংকট নিরসনে উভয় দেশের পক্ষে যৌথ প্রতিনিধি দল সীমান্তে সীমানা নির্ধারন করে সেখানে দীর্ঘস্থায়ী আন্তজার্তিক সীমানা পিলার পুন-নির্মান ও মেরামত করবেন।
ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, উভয় দেশের প্রতিনিধিরা পাঁচদিন ব্যাপী যৌথ ভাবে সীমানা নির্ধারনে কাজ করবেন। সোমবার সকালে যৌথ প্রতিনিধি দল ভারতের কোচবিহার পৌঁছে সরেজমিনে তা পরিদর্শন করবেন। এরপর যৌথ প্রতিনিধি দল জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে বৈঠকে মিলিত হয়ে যৌথ পরিদর্শন ও সীমান্ত পিলার পুননির্মানের কার্যবিবরনী প্রস্তুত এবং স্বাক্ষর সম্পাদন করে পাঁচ দিনের যৌথ কার্যক্রম সমাপ্ত করবেন।