তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধি।
নীলফামারীর জলঢাকায় বেশি লাভের আশায় অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে তামাক আবাদের দিকে ঝুঁকছে কৃষকেরা।
জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিস বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করলেও এবার প্রায় ১৫ শত হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির এ ফসল আবাদ হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। এ অঞ্চলে বেশির ভাগ মতিহার, ভাজিনিয়া, গোদরা, বিলাতি, তালিম, ডিবি, বার্নি সহ বিভিন্ন প্রজাতির তামাক আবাদ হয়ে থাকে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে লক্ষ করা গেছে কৃষকেরা গম, ভুট্রা, আলু, সরিষা ফসল বাদ দিয়ে বেশি লাভের আশায় তামাক চাষে ঝুঁকে পরছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ষাট থেকে সত্তর দিনের মধ্যে এ ফসল ঘড়ে তোলা সম্ভব।এছাড়াও দাম ও অনেক বেশি পাওয়া যায়।
কৈমারী ইউনিয়নের সরকার পাড়ার কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, গতবার দুই বিঘা জমিতে আলু লাগিয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে । সস্তা দামের কারনে। তাই এবার সেই জমিতে তামাক লাগিয়েছি। এতে ফলনও ভালো হয়, দামও বেশি পাওয়া যায় ।
শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের বেরুবন এলাকার কৃষক নরেশ চন্দ্র জানায়, আলু, ভুট্রার চেয়ে এ ফসল অনেক লাভজনক। এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ আট থেকে দশমন তামাক আবাদ করা সম্ভব । যার আনুমানিক মূল্য ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ হাজার টাকা । তামাক উঠানোর পরে সেই জমিতে আবার ইরি (বোরো) লাগানো যায়। আমি এবার পাঁচ বিঘা জমিতে ভাজিনিয়া ও তালিম তামাক লাগিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান বান্না বলেন, এবার প্রায় ১৫ শত হেক্টর জমিতে তামাকের আবাদ হয়েছে। তামাক থেকে সিগারেট, গুল, জর্দা ইত্যাদি যে দ্রব্য তৈরি হয় তা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের সব অনুষ্ঠানে কৃষকদের তামাক আবাদ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকি তার পরেও তারা এ বিষ তামাক আবাদের দিকে আগ্রহী ।